সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে আজকাল চাকরি জোটানো দায়। সঙ্গে অভিজ্ঞতার সনদও থাকা চাই। বলতে পারেন পড়াশোনা শেষে চাকরি পেলে তবেই তো হবে ‘অভিজ্ঞতা’! কিন্তু এমন কিছু পেশাগত কোর্স রয়েছে, যা আপনাকে নিয়ে যাবে অভিজ্ঞদের কাতারে। তেমনি একটি কোর্স চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি বা সিএ। হিসাববিদ্যায় যা আন্তর্জাতিক মানের পেশাগত সনদগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাগত এই ডিগ্রি দিয়ে থাকে আইসিএবি। দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এই সনদ প্রদান করে। সিএ সম্পর্কে দশটি বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আইসিএবির সদস্য ওয়াহাব আকন্দ।



 ১. আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি বা সিএ ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
আপনি যে দেশ থেকেই সিএ ডিগ্রি অর্জন করুন না কেন, পৃথিবীর সব দেশেই পেশাজীবনে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিরাট আকারের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোতে সিএ ডিগ্রিধারীদের কাজের সুযোগ আছে। যেহেতু পৃথিবীজুড়েই করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে, সেহেতু নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সিএ ডিগ্রিধারী পেশাজীবীদের চাহিদা আরও বাড়বে।
২. কোথায় আছে কাজের সুযোগ?
সিএ ডিগ্রিধারীরা সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে জায়গা পান। নামীদামি বহুজাতিক কোম্পানি, এনজিও থেকে শুরু করে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, তৈরি পোশাক নির্মান ও জ্বালানি প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোতে সিএ ডিগ্রিধারী পেশাজীবীদের বহুমাত্রিক কাজের সুযোগ আছে। যেহেতু সিএ পেশাদার সনদ, সেহেতু আপনি এই ডিগ্রি অর্জন করলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও নীতিনির্ধারণী পদে সাবলীলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। দেশ–বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগ, নিরীক্ষা বিভাগ, ট্যাক্স ও আর্থিক প্রশাসন ইত্যাদি বিভাগে সিএ ডিগ্রিপ্রাপ্তরা কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী িহসেবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।
৩. বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে কি?
বাংলাদেশ থেকে সিএ ডিগ্রি অর্জনের পরে ইচ্ছে করলে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবেদন করতে পারেন। সিএ ডিগ্রিধারীরা পিএইচডি পর্যায়ে সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও ফেলোশিপ নিয়ে ভর্তির সুযোগ পান। এ ছাড়া ভিনদেশে দু’ একটি বিষয়ে আলাদা পরীক্ষা দিয়ে চাইলে সে দেশের সিএ ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
৪. সিএ কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা কী কী?
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পরই সিএ কোর্সে ভর্তির আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার যেকোনো একটিতে জিপিএ–৫সহ ন্যূনতম ৯ পয়েন্ট থাকতে হয়। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাও সিএ কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ও-লেভেলে সর্বনিম্ন ৫ বিষয় কিংবা সর্বোচ্চ ৭ বিষয় মিলিয়ে ন্যূনতম ৩৮ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ লেভেলে ৩ বিষয়ে ন্যূনতম ১২ পয়েন্ট পেতে হবে ভর্তির জন্য। বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা মানবিক বিষয়ে স্নাতক অথবা মাস্টার্স শেষে আবেদন করার ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে।
৫. অনেকে বলেন, সিএ কোর্সে পড়াশোনা শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে, পড়াও বেশ কঠিন। সত্যিই কি তাই?
নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে থাকলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সিএ ডিগ্রি অর্জন করা যায়। যেহেতু সিএ ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা পুরোটাই ব্যবহারিক ও প্রতিযোগিতামূলক, সেহেতু এখানে পড়াশোনার একটু বেশি চাপ থাকে, এটা সত্যি। আন্তর্জাতিক মানের একটা ডিগ্রি পেতে হলে এই পরিশ্রম তো করতেই হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত পড়ালেখার সঙ্গে সিএর পার্থক্য কী?
এটি একটি পেশাদার ডিগ্রি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার চেয়ে এর পরিধি ও মাত্রা বেশ গভীর। সিএ ডিগ্রির কোর্স ও কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের বলে ব্যবহারিক জ্ঞানকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সব শিক্ষার্থীকে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা ও পড়াশোনার মধ্য দিয়ে সিএ ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। সিএ পড়তে চাইলে প্রথমে যুক্ত হতে হবে আইসিএবি নিবন্ধিত কোনো সিএ ফার্মের সঙ্গে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাতে-কলমে কাজের সুযোগ থাকে। পরবর্তী সময়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আইসিএবিতে শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করানো হয়। নতুন শিক্ষার্থী নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে প্রথমেই একটি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় মূলত মৌলিক হিসাববিজ্ঞান ও ইংরেজির ওপর প্রাথমিক দক্ষতা যাচাই করা হয়। সিএ ডিগ্রির পড়াশোনা পুরোটাই ইংরেজি ভাষায়। এ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় প্রাথমিক ভাষাগত দক্ষতা থাকা জরুরি।
৭. সিএ কোর্সে ইন্টার্নশিপ কিংবা থিসিস অন্তর্ভুক্ত আছে কি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ বা থিসিসকে জোর দেওয়া হয়। সিএ ডিগ্রি যেহেতু পেশাগত সনদ, সে ক্ষেত্রে ‘আর্টিকেলশিপ’ বলে একটি বিষয় প্রচলিত আছে। আর্টিকেলশিপ হলো, সিএ পড়াকালীন আপনাকে ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য কোনো সিএ ফার্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। একাডেমিক ডিগ্রির ক্ষেত্রে পেশাগত প্রশিক্ষণ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চাইলে আপনাকে শুরু থেকেই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে যুক্ত থাকতে হবে।
৮. কোর্স শেষ করতে কেমন খরচ হয়?
সিএ কোর্সে মোট তিনটি ‘লেভেল’ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে নলেজ লেভেল, অ্যাপ্লিকেশন লেভেল ও অ্যাডভান্সড স্টেজ লেভেল। নলেজ ও অ্যাপ্লিকেশন লেভেলে পড়তে হবে সাতটি বিষয়, অ্যাডভান্সড লেভেলে তিনটি বিষয়। সিএ কোর্সে ভর্তি থেকে শুরু করে সমাপনী পরীক্ষা পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়।
৯. বৃত্তি, ফেলোশিপ বা অন্য কোনো আর্থিক সহযোগিতা লাভের সুযোগ আছে কি?
আর্টিকেলশিপে থাকার সময়ে একজন শিক্ষার্থী সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে নির্ধারিত হারে ভাতা পেয়ে থাকেন। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিএবিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়। সিএ ডিগ্রি অর্জনের পরে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি ও ফেলোশিপ লাভের সুযোগও আছে।
১০. সিএ কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত কোথায় জানা যাবে?
সিএ ডিগ্রি ও কাজের সুযোগ জানতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে আইসিএবি ভবন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ছাড়া আইসিএবির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.icab.org.bd থেকেও খোঁজ নিতে পারেন।


নিয়মিত আরো তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে কানেক্ট থাকুন
ফেসবুকে আমরা ঃ www.fb.com/ittips
ধন্যবাদ।



চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট(CA)হতে চাইলে

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে আজকাল চাকরি জোটানো দায়। সঙ্গে অভিজ্ঞতার সনদও থাকা চাই। বলতে পারেন পড়াশোনা শেষে চাকরি পেলে তবেই তো হবে ‘অভিজ্ঞতা’! কিন্তু এমন কিছু পেশাগত কোর্স রয়েছে, যা আপনাকে নিয়ে যাবে অভিজ্ঞদের কাতারে। তেমনি একটি কোর্স চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি বা সিএ। হিসাববিদ্যায় যা আন্তর্জাতিক মানের পেশাগত সনদগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাগত এই ডিগ্রি দিয়ে থাকে আইসিএবি। দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এই সনদ প্রদান করে। সিএ সম্পর্কে দশটি বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আইসিএবির সদস্য ওয়াহাব আকন্দ।



 ১. আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি বা সিএ ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
আপনি যে দেশ থেকেই সিএ ডিগ্রি অর্জন করুন না কেন, পৃথিবীর সব দেশেই পেশাজীবনে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিরাট আকারের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোতে সিএ ডিগ্রিধারীদের কাজের সুযোগ আছে। যেহেতু পৃথিবীজুড়েই করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে, সেহেতু নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সিএ ডিগ্রিধারী পেশাজীবীদের চাহিদা আরও বাড়বে।
২. কোথায় আছে কাজের সুযোগ?
সিএ ডিগ্রিধারীরা সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে জায়গা পান। নামীদামি বহুজাতিক কোম্পানি, এনজিও থেকে শুরু করে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, তৈরি পোশাক নির্মান ও জ্বালানি প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোতে সিএ ডিগ্রিধারী পেশাজীবীদের বহুমাত্রিক কাজের সুযোগ আছে। যেহেতু সিএ পেশাদার সনদ, সেহেতু আপনি এই ডিগ্রি অর্জন করলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও নীতিনির্ধারণী পদে সাবলীলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। দেশ–বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগ, নিরীক্ষা বিভাগ, ট্যাক্স ও আর্থিক প্রশাসন ইত্যাদি বিভাগে সিএ ডিগ্রিপ্রাপ্তরা কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী িহসেবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।
৩. বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে কি?
বাংলাদেশ থেকে সিএ ডিগ্রি অর্জনের পরে ইচ্ছে করলে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবেদন করতে পারেন। সিএ ডিগ্রিধারীরা পিএইচডি পর্যায়ে সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও ফেলোশিপ নিয়ে ভর্তির সুযোগ পান। এ ছাড়া ভিনদেশে দু’ একটি বিষয়ে আলাদা পরীক্ষা দিয়ে চাইলে সে দেশের সিএ ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
৪. সিএ কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা কী কী?
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পরই সিএ কোর্সে ভর্তির আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার যেকোনো একটিতে জিপিএ–৫সহ ন্যূনতম ৯ পয়েন্ট থাকতে হয়। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাও সিএ কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ও-লেভেলে সর্বনিম্ন ৫ বিষয় কিংবা সর্বোচ্চ ৭ বিষয় মিলিয়ে ন্যূনতম ৩৮ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ লেভেলে ৩ বিষয়ে ন্যূনতম ১২ পয়েন্ট পেতে হবে ভর্তির জন্য। বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা মানবিক বিষয়ে স্নাতক অথবা মাস্টার্স শেষে আবেদন করার ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে।
৫. অনেকে বলেন, সিএ কোর্সে পড়াশোনা শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে, পড়াও বেশ কঠিন। সত্যিই কি তাই?
নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে থাকলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সিএ ডিগ্রি অর্জন করা যায়। যেহেতু সিএ ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা পুরোটাই ব্যবহারিক ও প্রতিযোগিতামূলক, সেহেতু এখানে পড়াশোনার একটু বেশি চাপ থাকে, এটা সত্যি। আন্তর্জাতিক মানের একটা ডিগ্রি পেতে হলে এই পরিশ্রম তো করতেই হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত পড়ালেখার সঙ্গে সিএর পার্থক্য কী?
এটি একটি পেশাদার ডিগ্রি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার চেয়ে এর পরিধি ও মাত্রা বেশ গভীর। সিএ ডিগ্রির কোর্স ও কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের বলে ব্যবহারিক জ্ঞানকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সব শিক্ষার্থীকে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা ও পড়াশোনার মধ্য দিয়ে সিএ ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। সিএ পড়তে চাইলে প্রথমে যুক্ত হতে হবে আইসিএবি নিবন্ধিত কোনো সিএ ফার্মের সঙ্গে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাতে-কলমে কাজের সুযোগ থাকে। পরবর্তী সময়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আইসিএবিতে শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করানো হয়। নতুন শিক্ষার্থী নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে প্রথমেই একটি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় মূলত মৌলিক হিসাববিজ্ঞান ও ইংরেজির ওপর প্রাথমিক দক্ষতা যাচাই করা হয়। সিএ ডিগ্রির পড়াশোনা পুরোটাই ইংরেজি ভাষায়। এ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় প্রাথমিক ভাষাগত দক্ষতা থাকা জরুরি।
৭. সিএ কোর্সে ইন্টার্নশিপ কিংবা থিসিস অন্তর্ভুক্ত আছে কি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ বা থিসিসকে জোর দেওয়া হয়। সিএ ডিগ্রি যেহেতু পেশাগত সনদ, সে ক্ষেত্রে ‘আর্টিকেলশিপ’ বলে একটি বিষয় প্রচলিত আছে। আর্টিকেলশিপ হলো, সিএ পড়াকালীন আপনাকে ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য কোনো সিএ ফার্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। একাডেমিক ডিগ্রির ক্ষেত্রে পেশাগত প্রশিক্ষণ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চাইলে আপনাকে শুরু থেকেই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে যুক্ত থাকতে হবে।
৮. কোর্স শেষ করতে কেমন খরচ হয়?
সিএ কোর্সে মোট তিনটি ‘লেভেল’ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে নলেজ লেভেল, অ্যাপ্লিকেশন লেভেল ও অ্যাডভান্সড স্টেজ লেভেল। নলেজ ও অ্যাপ্লিকেশন লেভেলে পড়তে হবে সাতটি বিষয়, অ্যাডভান্সড লেভেলে তিনটি বিষয়। সিএ কোর্সে ভর্তি থেকে শুরু করে সমাপনী পরীক্ষা পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়।
৯. বৃত্তি, ফেলোশিপ বা অন্য কোনো আর্থিক সহযোগিতা লাভের সুযোগ আছে কি?
আর্টিকেলশিপে থাকার সময়ে একজন শিক্ষার্থী সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে নির্ধারিত হারে ভাতা পেয়ে থাকেন। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিএবিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়। সিএ ডিগ্রি অর্জনের পরে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি ও ফেলোশিপ লাভের সুযোগও আছে।
১০. সিএ কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত কোথায় জানা যাবে?
সিএ ডিগ্রি ও কাজের সুযোগ জানতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে আইসিএবি ভবন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ছাড়া আইসিএবির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.icab.org.bd থেকেও খোঁজ নিতে পারেন।


নিয়মিত আরো তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে কানেক্ট থাকুন
ফেসবুকে আমরা ঃ www.fb.com/ittips
ধন্যবাদ।



৫:২৭ AM Share:

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

Comparison chart


Analog versus Digital comparison chart
AnalogDigital
SignalAnalog signal is a continuous signal which represents physical measurements.Digital signals are discrete time signals generated by digital modulation.
WavesDenoted by sine wavesDenoted by square waves
RepresentationUses continuous range of values to represent informationUses discrete or discontinuous values to represent information
ExampleHuman voice in air, analog electronic devices.Computers, CDs, DVDs, and other digital electronic devices.
TechnologyAnalog technology records waveforms as they are.Samples analog waveforms into a limited set of numbers and records them.
Data transmissionsSubjected to deterioration by noise during transmission and write/read cycle.Can be noise-immune without deterioration during transmission and write/read cycle.
Response to NoiseMore likely to get affected reducing accuracyLess affected since noise response are analog in nature
FlexibilityAnalog hardware is not flexible.Digital hardware is flexible in implementation.
UsesCan be used in analog devices only. Best suited for audio and video transmission.Best suited for Computing and digital electronics.
ApplicationsThermometerPCs, PDAs


Zahid Bhuiyan
Dhaka International University
Roll: 28

Distinguish between Digital and Analog System

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

Comparison chart


Analog versus Digital comparison chart
AnalogDigital
SignalAnalog signal is a continuous signal which represents physical measurements.Digital signals are discrete time signals generated by digital modulation.
WavesDenoted by sine wavesDenoted by square waves
RepresentationUses continuous range of values to represent informationUses discrete or discontinuous values to represent information
ExampleHuman voice in air, analog electronic devices.Computers, CDs, DVDs, and other digital electronic devices.
TechnologyAnalog technology records waveforms as they are.Samples analog waveforms into a limited set of numbers and records them.
Data transmissionsSubjected to deterioration by noise during transmission and write/read cycle.Can be noise-immune without deterioration during transmission and write/read cycle.
Response to NoiseMore likely to get affected reducing accuracyLess affected since noise response are analog in nature
FlexibilityAnalog hardware is not flexible.Digital hardware is flexible in implementation.
UsesCan be used in analog devices only. Best suited for audio and video transmission.Best suited for Computing and digital electronics.
ApplicationsThermometerPCs, PDAs


Zahid Bhuiyan
Dhaka International University
Roll: 28

৯:০৬ PM Share:

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

এরইমধ্যে পাসপোর্ট করার জন্যে নতুন বেশ কিছু প্রযুক্তি এসেছে আমাদের দেশে। অনলাইনে পাসপোর্ট এর ফর্ম পূরণ করাটা পেয়েছে যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা। কাজটাও যথেষ্ঠ সোজা সাপটা। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক। অনলাইনে পাসপোর্ট করতে আপনাকে যা যা করতে হবে-
প্রথম ধাপ
* অনলাইনে পাসপোর্টের ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমে যেতে হবে www.dip.gov.bd এই ঠিকানায়।
* হোম পেইজের ডান পাশে Service বক্সে Apply online for mrp এই অংশে ক্লিক করার পর পাসপোর্ট-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা আসবে । Continue to online enrolment ট্যাবে ক্লিক করলে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমটি আসবে। এই ফরমে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেসব তথ্য দিতে হবে।
তবে ফরমের ঠিক ওপরের অংশ Delivery Type-এর নিচে Supporting Document নামে যে আলাদা একটি বক্স রয়েছে। সাধারণ নাগরিক সেটি পূরণ করবে না। সরকারি কর্মকর্তা, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের এটি পূরণ করতে হয়।
* Passport Type অংশে সাধারণ নাগরিকদের জন্য ordinary সিলেক্ট করতে হবে।
* Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
* একই ঠিকানায় আর একটি নতুন ফরম আসবে। এ ফরমটি পূরণ করতে হলে আগে থেকেই নির্ধারিত ব্যাংকে পাসপোর্টের জন্য ফি হিসাবে টাকা জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। সেই রশিদ নম্বর দিয়ে এ ফরম পূরণ করতে হয়।
* আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে প্রিন্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
* আবেদনপত্রটি ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্র যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন।
* পাসপোর্ট অফিসেই খোলা আছে বেশ কয়েকটি বুথ। এসব বুথেই জমা দিতে হবে।
* আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তি আপনার তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবেন।
* এরপর তিনি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন।
* টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে।
* জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিল, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে।
* ইলেকট্রনিক মেশিনে দুই হাতের আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
* এরপর নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর।
* এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রটি রেখে দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আপনাকে একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে। পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।
* আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে । সংগ্রহ করার সময় নিজে না থাকলেও চলবে ।
* সাদা কাপড় পরে ছবি তোলা যাবে না।
অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং
নির্ধারিত ডেলিভারি তারিখে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে পারবেন কি না তা অনলাইনে জানতে পারবেন।
বিস্তারিত : www.immi.gov.bd/passportverify.php

পাসপোর্ট করুন ইন্টারনেটে

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

এরইমধ্যে পাসপোর্ট করার জন্যে নতুন বেশ কিছু প্রযুক্তি এসেছে আমাদের দেশে। অনলাইনে পাসপোর্ট এর ফর্ম পূরণ করাটা পেয়েছে যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা। কাজটাও যথেষ্ঠ সোজা সাপটা। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক। অনলাইনে পাসপোর্ট করতে আপনাকে যা যা করতে হবে-
প্রথম ধাপ
* অনলাইনে পাসপোর্টের ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমে যেতে হবে www.dip.gov.bd এই ঠিকানায়।
* হোম পেইজের ডান পাশে Service বক্সে Apply online for mrp এই অংশে ক্লিক করার পর পাসপোর্ট-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা আসবে । Continue to online enrolment ট্যাবে ক্লিক করলে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমটি আসবে। এই ফরমে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেসব তথ্য দিতে হবে।
তবে ফরমের ঠিক ওপরের অংশ Delivery Type-এর নিচে Supporting Document নামে যে আলাদা একটি বক্স রয়েছে। সাধারণ নাগরিক সেটি পূরণ করবে না। সরকারি কর্মকর্তা, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের এটি পূরণ করতে হয়।
* Passport Type অংশে সাধারণ নাগরিকদের জন্য ordinary সিলেক্ট করতে হবে।
* Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
* একই ঠিকানায় আর একটি নতুন ফরম আসবে। এ ফরমটি পূরণ করতে হলে আগে থেকেই নির্ধারিত ব্যাংকে পাসপোর্টের জন্য ফি হিসাবে টাকা জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। সেই রশিদ নম্বর দিয়ে এ ফরম পূরণ করতে হয়।
* আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে প্রিন্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
* আবেদনপত্রটি ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্র যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন।
* পাসপোর্ট অফিসেই খোলা আছে বেশ কয়েকটি বুথ। এসব বুথেই জমা দিতে হবে।
* আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তি আপনার তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবেন।
* এরপর তিনি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন।
* টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে।
* জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিল, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে।
* ইলেকট্রনিক মেশিনে দুই হাতের আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
* এরপর নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর।
* এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রটি রেখে দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আপনাকে একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে। পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।
* আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে । সংগ্রহ করার সময় নিজে না থাকলেও চলবে ।
* সাদা কাপড় পরে ছবি তোলা যাবে না।
অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং
নির্ধারিত ডেলিভারি তারিখে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে পারবেন কি না তা অনলাইনে জানতে পারবেন।
বিস্তারিত : www.immi.gov.bd/passportverify.php

১০:৩৩ AM Share:

মঙ্গলবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৫

TipsTune24.Com





আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?  আশা করি ভালো আছেন। আমরা জানি যে গত ১৮ তারিখ National University এর  রেজাল্ট দিছে । আজ আপনাদের দেখাব কি ভাবে অনলাইন এ ভর্তি হবেন।
আসুন দেখি.................................

অনলাইন হতে ভর্তি ফরম উত্তোলনে শিক্ষার্থীর করণীয়:
১। অনলাইনে ভর্তি রোল ও পিন দিয়ে প্রবেশ পূর্বক ফরম পূরন করতে হবে।
২। নিজের তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ হয়েছে কিনা নিজেই যাচাই করে নিতে হবে। (বিশেষ করে যদি কেউ বিষয় পরিবর্তন  করতে চায় তাহলে অবশ্যই দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে নিবেন।)
৩। ভর্তি ফরমের প্রিন্ট কপি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে।
৪। ঠিকানা সঠিক শব্দে লিখা আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।
৫। নিজের রোল ও পিন নম্বর সংরক্ষন করে রাখুন।
৬। ভর্তি ফরমের “Applicant’s Signature & Date” অংশে শিক্ষার্থীর নিজের নাম ও
তারিখ, “Guardians Signature & Date” অভিভাবকের স্বাক্ষর লিখতে হবে।
৭। প্রথম মেধা তালিকার ভর্তি ফরম পূরণের শেষ তারিখ আগামী ২৭ জানুয়ারী ২০১৫ পর্যন্ত।
৮। প্রথম মেধাতালিকারভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেই 2য় মেধাতালিকার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি ফরম জমাদানে
করণীয়ঃ
*১। ভর্তি ফরম উত্তোলনের পর শিক্ষার্থীর নাম ও তারিখ, অভিভাবকের স্বাক্ষরের পর ফরমকে      দুইটি সেটে ভাগ  করতে হবে।
*২। দুইটি সেটে আলাদা আলাদা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযোজন করতে হবে।
*৩। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:-
ক. আপনার এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার মূল নম্বর পত্র আলাদা নির্দিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।
খ. আপনার মূল নম্বর পত্রের ফটোকপি, রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি, স্কুল ও কলেজ কর্তৃক প্রাপ্ত টেষ্টিমোনিয়াল এর
ফটোকপি, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি (প্রয়োজনবোধে, কলেজ নোটিশ উল্লেখ পূর্বক)
গ. এই নকল কাগজ পত্রকে দুই ভাগে দুইটি ভর্তি ফরমে আলাদাভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
*৪। সংযুক্তকৃত ভর্তি ফরম কলেজ ক্যাশ শাখায় দেখিয়ে ভর্তি রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
*৫। সংগ্রহকৃত রশিদে নিজের নাম, ভর্তি রোল, শেসন লিখে কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংক শাখায় জমা দিতে হবে।
*৬। ব্যাংক থেকে আপনি রশিদের একটি অংশ পাবেন তার ফটোকপি ভর্তি ফরমের উপরে সংযুক্ত করে নির্দিষ্ট বিভাগে
জমা দিতে হবে।
*৭। এরপর বিভাগে গিয়ে বিভাগীয় সেমিনার ফি প্রদান করে সংযুক্ত দুইটি ভর্তি পরমের সেট জমা দিলে ভর্তি কার্যক্রম
সম্পন্ন হবে।
ধন্যবাদ 
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন সাধ্য মত সমাধানের চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ
আমার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা  Facebook
এছাড়াও আমাদের ফেসবুক ফ্যান ফেজ এ লাইক দিয়ে একটিভ থাকতে পারেন তথ্য প্রযুক্তির সাথে ।

NU তে চান্স পেয়েছেন? যদি হ্যাঁ হয় তাহলে জেনে নিন ভর্তি হওয়ার A to Z প্রক্রিয়া

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

TipsTune24.Com





আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?  আশা করি ভালো আছেন। আমরা জানি যে গত ১৮ তারিখ National University এর  রেজাল্ট দিছে । আজ আপনাদের দেখাব কি ভাবে অনলাইন এ ভর্তি হবেন।
আসুন দেখি.................................

অনলাইন হতে ভর্তি ফরম উত্তোলনে শিক্ষার্থীর করণীয়:
১। অনলাইনে ভর্তি রোল ও পিন দিয়ে প্রবেশ পূর্বক ফরম পূরন করতে হবে।
২। নিজের তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ হয়েছে কিনা নিজেই যাচাই করে নিতে হবে। (বিশেষ করে যদি কেউ বিষয় পরিবর্তন  করতে চায় তাহলে অবশ্যই দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে নিবেন।)
৩। ভর্তি ফরমের প্রিন্ট কপি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে।
৪। ঠিকানা সঠিক শব্দে লিখা আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।
৫। নিজের রোল ও পিন নম্বর সংরক্ষন করে রাখুন।
৬। ভর্তি ফরমের “Applicant’s Signature & Date” অংশে শিক্ষার্থীর নিজের নাম ও
তারিখ, “Guardians Signature & Date” অভিভাবকের স্বাক্ষর লিখতে হবে।
৭। প্রথম মেধা তালিকার ভর্তি ফরম পূরণের শেষ তারিখ আগামী ২৭ জানুয়ারী ২০১৫ পর্যন্ত।
৮। প্রথম মেধাতালিকারভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেই 2য় মেধাতালিকার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি ফরম জমাদানে
করণীয়ঃ
*১। ভর্তি ফরম উত্তোলনের পর শিক্ষার্থীর নাম ও তারিখ, অভিভাবকের স্বাক্ষরের পর ফরমকে      দুইটি সেটে ভাগ  করতে হবে।
*২। দুইটি সেটে আলাদা আলাদা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযোজন করতে হবে।
*৩। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:-
ক. আপনার এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার মূল নম্বর পত্র আলাদা নির্দিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।
খ. আপনার মূল নম্বর পত্রের ফটোকপি, রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি, স্কুল ও কলেজ কর্তৃক প্রাপ্ত টেষ্টিমোনিয়াল এর
ফটোকপি, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি (প্রয়োজনবোধে, কলেজ নোটিশ উল্লেখ পূর্বক)
গ. এই নকল কাগজ পত্রকে দুই ভাগে দুইটি ভর্তি ফরমে আলাদাভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
*৪। সংযুক্তকৃত ভর্তি ফরম কলেজ ক্যাশ শাখায় দেখিয়ে ভর্তি রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
*৫। সংগ্রহকৃত রশিদে নিজের নাম, ভর্তি রোল, শেসন লিখে কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংক শাখায় জমা দিতে হবে।
*৬। ব্যাংক থেকে আপনি রশিদের একটি অংশ পাবেন তার ফটোকপি ভর্তি ফরমের উপরে সংযুক্ত করে নির্দিষ্ট বিভাগে
জমা দিতে হবে।
*৭। এরপর বিভাগে গিয়ে বিভাগীয় সেমিনার ফি প্রদান করে সংযুক্ত দুইটি ভর্তি পরমের সেট জমা দিলে ভর্তি কার্যক্রম
সম্পন্ন হবে।
ধন্যবাদ 
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন সাধ্য মত সমাধানের চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ
আমার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা  Facebook
এছাড়াও আমাদের ফেসবুক ফ্যান ফেজ এ লাইক দিয়ে একটিভ থাকতে পারেন তথ্য প্রযুক্তির সাথে ।

৯:০০ PM Share:

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

বিভিন্ন প্রয়োজনে দরকার পাসপোর্ট। সময়মতো নিজের পাসপোর্টটি করে রাখুন। পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া নিয়ে সবার মধ্যেই এক ধরনের ভীতি কাজ করে। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে মনে রাখলে পাসপোর্ট করা মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। লিখেছেন- মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম

নতুন পাসপোর্ট করে নিন
নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমেই আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরম। এটি পাওয়া যাবে আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অফিসে। অথবা পাওয়া যাবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও। তবে ফরমটি সংগ্রহ ও পূরণ করা সহজ হবে অনলাইন-পদ্ধতিতে।www.passport.gov.bd ঠিকানায় মিলবে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফরম পূরণ পদ্ধতি। ফরম পূরণের আগেই যদি পাসপোর্টের ফি জমা দিয়ে মানি রিসিট সংগ্রহ করে নেয়া যায়, তবে কাজ সহজ হয়ে যাবে। কারণ পূরণকৃত ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে মানি রিসিটও। পাসপোর্টের জন্য টাকা গ্রহণ করা হয় সোনালী ব্যাংকে। জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে জমা দিতে হবে ৬০০০ টাকা। আর সাধারণ সময়ে পাসপোর্ট পেতে লাগবে ৩০০০ টাকা।
ফরম পূরণের সময় নিজের নামের বানান যাতে শিক্ষা সনদের অনুরূপ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে পিতা-মাতার নামও যাতে নির্ভুল হয়, লক্ষ্য রাখতে হবে সেদিকেও। মনে রাখতে হবে, একবার ভুল হয়ে গেলে তা শোধরাতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়।
অনলাইনে ফরম পূরণের সময় নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন ই- মেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিন। ফরম পূরণ করে জমা দেয়ার আগে আবার যাচাই করে নিন। অনলাইনের ক্ষেত্রে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার পর একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া হবে, তা সংরক্ষণ করুন। সেই সঙ্গে সংরক্ষণ করুন মেইলে পাঠিয়ে দেয়া পূরণকৃত ফরমের পিডিএফ কপিও।
এর পর মেইলে আসা ফরমের কপিটি রঙিন প্রিন্ট করে নিন। তারপর চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদ/ শিক্ষা সনদের ফটোকপি প্রথম শ্রেণীর কোনো পরিচিত কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে নিন। ফরমের নির্দিষ্ট অংশে আঠা দিয়ে ছবি সেঁটে দিন। ফরমের সঙ্গে যুক্ত করুন সত্যায়িত করা অন্য কাগজপত্র এবং টাকা জমা দেয়ার রশিদ। আপনার ফরমটি এখন পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
এবার এক দিন ফরমাল পোশাকে সকাল ৯টার মধ্যেই পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। সম্পূর্ণ পূরণকৃত ফরমটি পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট ডেস্কে জমা দিন। এক্ষেত্রে কোনো দালালের খপ্পরে পা দেবেন না। সরাসরি মূল অফিসের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তা নিন।
ফরম জমা দেয়ার সময় আপনাকে একটি রিসিট দেয়া হবে, তাতে একটি সিরিয়াল নাম্বার থাকবে। সেই সিরিয়াল অনুযায়ী আপনার ডাক পড়বে ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলার পাশাপাশি রাখা হবে আপনার দুই হাতের ফিঙ্গার প্রিন্ট। ইলেক্ট্রিক মাধ্যমে রাখা হবে আপনার স্বাক্ষরও। এ ক্ষেত্রে ফরমে দেয়া স্বাক্ষরটিই দিন। ফরম জমা দেয়ার পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর আপনাকে একটি রিসিট দেয়া হবে। সেটি যত্নসহকারে সংগ্রহ করুন। পাসপোর্ট তোলার সময় সেটির দরকার হবে। আপনার কাজ শেষ!
এবার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের পালা। এ কাজটি করে থাকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। ভ্যারিফিকেশন হয়ে গেলে ফরমে যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছেন, সেটিতে একটি এসএমএস আসবে। এরপরই যে কোনোদিন আপনার কাছে থাকা রিসিটটি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। তুলে নিন আপনার নিজের পাসপোর্টটি!
ভুল সংশোধন, তথ্য সংযোজন
সাধের পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশিতে আটখানা হয়ে বাড়ি ফিরে দেখলেন আপনার নামের বানানটাই ভুল; বা ভুল হয়ে গেছে মাতা-পিতার নাম! এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল ভুলের প্রকৃতি অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করা এবং সেটি পূরণ করে জমা দেয়া। সেই ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে প্রামাণ্য কাগজপত্রও।
নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। অথবা প্রয়োজন হবে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার এফিডেভিট বা পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপনের কপি। বয়স বা জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত কপি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি প্রয়োজন হবে।
এভাবে অন্য যে কোনো তথ্য সংশোধন বা সংযোজনের জন্য প্রামাণ্য কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য সাত থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তবে জরুরি প্রয়োজনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
পাসপোর্ট হারালে
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে দ্রুততম সময়ে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এর পর সাধারণ ডায়েরির মূলকপি এবং সঙ্গে গ্রাহকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবিসহ আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম মিলবে পাসপোর্ট অফিসে। সম্ভব হলে মূল পাসপোর্টের ফটোকপিও যুক্ত করুন। এর পর পাসপোর্টধারীর পুরনো রেকর্ড ও অনুকূল পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। জরুরি ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে তিন হাজার টাকা। পাওয়া যাবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আর সাধারণ ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্টের ফি লাগবে দুই হাজার টাকা। পাসপোর্ট পাওয়া যাবে সাত দিনের মধ্যেই।
সুতরাং দেরি না করে তৈরি করে নিন নিজের পাসপোর্টটি। যাতে জরুরি সময়ে পাসপোর্ট তৈরির দৌড়ে নেমে কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করার ধারাবাহিক নিয়ম

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

বিভিন্ন প্রয়োজনে দরকার পাসপোর্ট। সময়মতো নিজের পাসপোর্টটি করে রাখুন। পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া নিয়ে সবার মধ্যেই এক ধরনের ভীতি কাজ করে। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে মনে রাখলে পাসপোর্ট করা মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। লিখেছেন- মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম

নতুন পাসপোর্ট করে নিন
নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমেই আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরম। এটি পাওয়া যাবে আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অফিসে। অথবা পাওয়া যাবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও। তবে ফরমটি সংগ্রহ ও পূরণ করা সহজ হবে অনলাইন-পদ্ধতিতে।www.passport.gov.bd ঠিকানায় মিলবে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফরম পূরণ পদ্ধতি। ফরম পূরণের আগেই যদি পাসপোর্টের ফি জমা দিয়ে মানি রিসিট সংগ্রহ করে নেয়া যায়, তবে কাজ সহজ হয়ে যাবে। কারণ পূরণকৃত ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে মানি রিসিটও। পাসপোর্টের জন্য টাকা গ্রহণ করা হয় সোনালী ব্যাংকে। জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে জমা দিতে হবে ৬০০০ টাকা। আর সাধারণ সময়ে পাসপোর্ট পেতে লাগবে ৩০০০ টাকা।
ফরম পূরণের সময় নিজের নামের বানান যাতে শিক্ষা সনদের অনুরূপ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে পিতা-মাতার নামও যাতে নির্ভুল হয়, লক্ষ্য রাখতে হবে সেদিকেও। মনে রাখতে হবে, একবার ভুল হয়ে গেলে তা শোধরাতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়।
অনলাইনে ফরম পূরণের সময় নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন ই- মেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিন। ফরম পূরণ করে জমা দেয়ার আগে আবার যাচাই করে নিন। অনলাইনের ক্ষেত্রে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার পর একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া হবে, তা সংরক্ষণ করুন। সেই সঙ্গে সংরক্ষণ করুন মেইলে পাঠিয়ে দেয়া পূরণকৃত ফরমের পিডিএফ কপিও।
এর পর মেইলে আসা ফরমের কপিটি রঙিন প্রিন্ট করে নিন। তারপর চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদ/ শিক্ষা সনদের ফটোকপি প্রথম শ্রেণীর কোনো পরিচিত কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে নিন। ফরমের নির্দিষ্ট অংশে আঠা দিয়ে ছবি সেঁটে দিন। ফরমের সঙ্গে যুক্ত করুন সত্যায়িত করা অন্য কাগজপত্র এবং টাকা জমা দেয়ার রশিদ। আপনার ফরমটি এখন পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
এবার এক দিন ফরমাল পোশাকে সকাল ৯টার মধ্যেই পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। সম্পূর্ণ পূরণকৃত ফরমটি পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট ডেস্কে জমা দিন। এক্ষেত্রে কোনো দালালের খপ্পরে পা দেবেন না। সরাসরি মূল অফিসের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তা নিন।
ফরম জমা দেয়ার সময় আপনাকে একটি রিসিট দেয়া হবে, তাতে একটি সিরিয়াল নাম্বার থাকবে। সেই সিরিয়াল অনুযায়ী আপনার ডাক পড়বে ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলার পাশাপাশি রাখা হবে আপনার দুই হাতের ফিঙ্গার প্রিন্ট। ইলেক্ট্রিক মাধ্যমে রাখা হবে আপনার স্বাক্ষরও। এ ক্ষেত্রে ফরমে দেয়া স্বাক্ষরটিই দিন। ফরম জমা দেয়ার পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর আপনাকে একটি রিসিট দেয়া হবে। সেটি যত্নসহকারে সংগ্রহ করুন। পাসপোর্ট তোলার সময় সেটির দরকার হবে। আপনার কাজ শেষ!
এবার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের পালা। এ কাজটি করে থাকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। ভ্যারিফিকেশন হয়ে গেলে ফরমে যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছেন, সেটিতে একটি এসএমএস আসবে। এরপরই যে কোনোদিন আপনার কাছে থাকা রিসিটটি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। তুলে নিন আপনার নিজের পাসপোর্টটি!
ভুল সংশোধন, তথ্য সংযোজন
সাধের পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশিতে আটখানা হয়ে বাড়ি ফিরে দেখলেন আপনার নামের বানানটাই ভুল; বা ভুল হয়ে গেছে মাতা-পিতার নাম! এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল ভুলের প্রকৃতি অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করা এবং সেটি পূরণ করে জমা দেয়া। সেই ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে প্রামাণ্য কাগজপত্রও।
নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। অথবা প্রয়োজন হবে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার এফিডেভিট বা পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপনের কপি। বয়স বা জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত কপি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি প্রয়োজন হবে।
এভাবে অন্য যে কোনো তথ্য সংশোধন বা সংযোজনের জন্য প্রামাণ্য কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য সাত থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তবে জরুরি প্রয়োজনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
পাসপোর্ট হারালে
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে দ্রুততম সময়ে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এর পর সাধারণ ডায়েরির মূলকপি এবং সঙ্গে গ্রাহকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবিসহ আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম মিলবে পাসপোর্ট অফিসে। সম্ভব হলে মূল পাসপোর্টের ফটোকপিও যুক্ত করুন। এর পর পাসপোর্টধারীর পুরনো রেকর্ড ও অনুকূল পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। জরুরি ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে তিন হাজার টাকা। পাওয়া যাবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আর সাধারণ ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্টের ফি লাগবে দুই হাজার টাকা। পাসপোর্ট পাওয়া যাবে সাত দিনের মধ্যেই।
সুতরাং দেরি না করে তৈরি করে নিন নিজের পাসপোর্টটি। যাতে জরুরি সময়ে পাসপোর্ট তৈরির দৌড়ে নেমে কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়।

৪:৩১ AM Share:
দোকানে কোনো জিনিস কিনতে গিয়ে যদি দেখেন জিনিসটি কেনার মতো টাকা আপনার কাছে নেই তাহলে হতাশ হবেন না। দোকানিকে বলে জিনিসটির দাম কিছুটা কমানো যায় কি না, তা যাচাই করে দেখুন। এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৯ ভাগ মানুষ দামাদামি করে শেষ পর্যন্ত লাভবান হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। এ লেখায় থাকছে নয়টি উপায়, যার মাধ্যমে দামাদামিতে আপনি সফল হতে পারেন।


কেনাকাটায় লাভবান হবার ৯টি উপায়
কেনাকাটায় লাভবান হবার ৯টি উপায়


১. বিচ্ছিন্ন হয়ে নিন
অনেক মানুষের ভিড়ে দোকানে দামাদামিতে সহজে সফল হওয়া যায় না। কারণ আপনাকে কমদামে কোনো পণ্য দেওয়া মানে তা অন্যদেরও দিতে হবে, এমনটাই ধারণা হতে পারে দোকানির।
২. কৌশলী হোন
বিক্রেতাকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে আপনি দামাদামি করলেও কোনো লাভ হবে না। বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। আর এখানে দাম নিয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। এক্ষেত্রে মাথা গরম করে নয় বরং ঠাণ্ডা মাথায় আপনার চাহিদার কথা দোকানিকে জানান।
৩. বিক্রেতাকেও সুযোগ দিন
কোনো দোকান থেকে যদি আপনি নিয়মিত কেনাকাটা করেন তাহলে সেখানে আপনার চাহিদা সহজেই মেটাতে আগ্রহী হবে দোকানি। শুধু একটি কেনাকাটা নয়, নিয়মিত ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. বিক্রেতার মতামত শুনুন
আপনি একটি টিভি কিনতে গিয়ে যদি সরাসরি ১৫% ডিসকাউন্ট আশা করেন তাহলে তা মোটেও সুবিধাজনক হবে না। এক্ষেত্রে সহজেই সে বিষয়টি না করে দিতে পারবে। তাই তার বদলে বিক্রেতাকে বলুন, আমি এ টিভিটি পছন্দ করেছি। আমার রুমের জন্য এটাই দরকার। কিন্তু এটি আমার বাজেটের বাইরে। এখন কোন সুবিধাজনক পদ্ধতিতে এটি আমি নিতে পারি? এতে বিক্রেতা তার হাতে থাকা কোনো অফার বা কিস্তি ইত্যাদি জানিয়ে দিতে পারে।
৫. আপনার বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করুন
কোনো একটি বিশেষ জিনিস কিনতে গিয়ে সে বিষয়ে নিজের অজ্ঞানতা প্রকাশের মানে হয় না। সমঝদার বিক্রেতা একজন সমঝদার ক্রেতার কাছেই জিনিসটি বিক্রি করতে আগ্রহী হবে।
৬. আগে থেকেই খবর নিন
বছরের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রেতা কমদামে পণ্য ছেড়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও রয়েছে সুবিধাজনক স্থানে কেনাকাটার বিষয়। সুসজ্জিত কিংবা ব্যয়বহুল দোকানগুলোর পক্ষে কোনো জিনিসের দাম কমানো সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু একই জিনিস আপনি পাবেন ভিন্ন কোনো দোকানে অনেক কম দামে।
৭. নিরবতা অবলম্বন করুন
নিরবতা অনেক সময় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। আপনি কোনো জিনিসের দামাদামি করতে গিয়ে নিজের কাঙ্ক্ষিত দামটি জানিয়ে দিতে পারেন। এরপর নিরবতা অবলম্বনের সময় তা কাটানোর জন্যও বিক্রেতা ‘হ্যাঁ’ বলে দিতে পারে।
৮. নগদ ডিসকাউন্ট খুঁজুন
ব্যবসায়ীদের পক্ষে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে অনেক ব্যবসায়ীকেই ব্যাংকের জন্য বাড়তি চার্জ বহন করতে হয়। তাই নগদ অর্থ প্রদান করে তার বদলে ডিসকাউন্ট চাইতে পারেন।
৯. বছর শেষের ডিসকাউন্ট
বহু দোকানিই বছর শেষে কমদামে পণ্য ছেড়ে দেয়। অনেকে গ্রীষ্মকাল শেষে সে সময়কার অবশিষ্ট পোশাক কমদামে ছেড়ে দেয়। একই বিষয় প্রযোজ্য শীতকালীন পোশাকের ক্ষেত্রেও। এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক সময়ের সন্ধান করতে হবে।

কেনাকাটায় লাভবান হবার ৯টি উপায়

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

দোকানে কোনো জিনিস কিনতে গিয়ে যদি দেখেন জিনিসটি কেনার মতো টাকা আপনার কাছে নেই তাহলে হতাশ হবেন না। দোকানিকে বলে জিনিসটির দাম কিছুটা কমানো যায় কি না, তা যাচাই করে দেখুন। এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৯ ভাগ মানুষ দামাদামি করে শেষ পর্যন্ত লাভবান হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। এ লেখায় থাকছে নয়টি উপায়, যার মাধ্যমে দামাদামিতে আপনি সফল হতে পারেন।


কেনাকাটায় লাভবান হবার ৯টি উপায়
কেনাকাটায় লাভবান হবার ৯টি উপায়


১. বিচ্ছিন্ন হয়ে নিন
অনেক মানুষের ভিড়ে দোকানে দামাদামিতে সহজে সফল হওয়া যায় না। কারণ আপনাকে কমদামে কোনো পণ্য দেওয়া মানে তা অন্যদেরও দিতে হবে, এমনটাই ধারণা হতে পারে দোকানির।
২. কৌশলী হোন
বিক্রেতাকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে আপনি দামাদামি করলেও কোনো লাভ হবে না। বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। আর এখানে দাম নিয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। এক্ষেত্রে মাথা গরম করে নয় বরং ঠাণ্ডা মাথায় আপনার চাহিদার কথা দোকানিকে জানান।
৩. বিক্রেতাকেও সুযোগ দিন
কোনো দোকান থেকে যদি আপনি নিয়মিত কেনাকাটা করেন তাহলে সেখানে আপনার চাহিদা সহজেই মেটাতে আগ্রহী হবে দোকানি। শুধু একটি কেনাকাটা নয়, নিয়মিত ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. বিক্রেতার মতামত শুনুন
আপনি একটি টিভি কিনতে গিয়ে যদি সরাসরি ১৫% ডিসকাউন্ট আশা করেন তাহলে তা মোটেও সুবিধাজনক হবে না। এক্ষেত্রে সহজেই সে বিষয়টি না করে দিতে পারবে। তাই তার বদলে বিক্রেতাকে বলুন, আমি এ টিভিটি পছন্দ করেছি। আমার রুমের জন্য এটাই দরকার। কিন্তু এটি আমার বাজেটের বাইরে। এখন কোন সুবিধাজনক পদ্ধতিতে এটি আমি নিতে পারি? এতে বিক্রেতা তার হাতে থাকা কোনো অফার বা কিস্তি ইত্যাদি জানিয়ে দিতে পারে।
৫. আপনার বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করুন
কোনো একটি বিশেষ জিনিস কিনতে গিয়ে সে বিষয়ে নিজের অজ্ঞানতা প্রকাশের মানে হয় না। সমঝদার বিক্রেতা একজন সমঝদার ক্রেতার কাছেই জিনিসটি বিক্রি করতে আগ্রহী হবে।
৬. আগে থেকেই খবর নিন
বছরের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রেতা কমদামে পণ্য ছেড়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও রয়েছে সুবিধাজনক স্থানে কেনাকাটার বিষয়। সুসজ্জিত কিংবা ব্যয়বহুল দোকানগুলোর পক্ষে কোনো জিনিসের দাম কমানো সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু একই জিনিস আপনি পাবেন ভিন্ন কোনো দোকানে অনেক কম দামে।
৭. নিরবতা অবলম্বন করুন
নিরবতা অনেক সময় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। আপনি কোনো জিনিসের দামাদামি করতে গিয়ে নিজের কাঙ্ক্ষিত দামটি জানিয়ে দিতে পারেন। এরপর নিরবতা অবলম্বনের সময় তা কাটানোর জন্যও বিক্রেতা ‘হ্যাঁ’ বলে দিতে পারে।
৮. নগদ ডিসকাউন্ট খুঁজুন
ব্যবসায়ীদের পক্ষে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে অনেক ব্যবসায়ীকেই ব্যাংকের জন্য বাড়তি চার্জ বহন করতে হয়। তাই নগদ অর্থ প্রদান করে তার বদলে ডিসকাউন্ট চাইতে পারেন।
৯. বছর শেষের ডিসকাউন্ট
বহু দোকানিই বছর শেষে কমদামে পণ্য ছেড়ে দেয়। অনেকে গ্রীষ্মকাল শেষে সে সময়কার অবশিষ্ট পোশাক কমদামে ছেড়ে দেয়। একই বিষয় প্রযোজ্য শীতকালীন পোশাকের ক্ষেত্রেও। এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক সময়ের সন্ধান করতে হবে।

৪:০৬ AM Share:
ধনী হওয়ার উপায় অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও বহু ধনী বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তারা কয়েকটি উপায়ের কথা বলেন, যা কঠোরভাবে পালন করলে ধনী হওয়া সম্ভব অল্প বয়সেই। তবে এক্ষেত্রে বিষয়গুলো আংশিক মানলে হবে না, সফল হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই মিলিয়নেয়ার হওয়া গ্র্যান্ট কার্ডন এ লেখার ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন।
Woman Counting Money. Image shot 2008. Exact date unknown.
১. টাকা অনুসরণ করুন
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি সহজেই ধনী হতে পারবেন না। এজন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো টাকা উপার্জন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর এতে যে পথগুলো সফল হবে সে পথে উপার্জন বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে।
২. লোক দেখানো বন্ধ করুন
সামান্য কিছু টাকা হলেই তা দিয়ে বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য কেনা অভ্যাস বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত টাকা না আসা পর্যন্ত দামি মোবাইল, ঘড়ি, গাড়ি ইত্যাদির পেছনে এক পয়সাও ব্যয় করা যাবে না। অর্থ ব্যয় করার বদলে তা জমিয়ে নতুন করে অর্থ উপার্জনের কাজে লাগান।
৩. বিনিয়োগ ক্ষেত্র বের করুন
আপনার টাকা জমানোর মূল উদ্দেশ্য হবে তা দিয়ে যুতসই বিনিয়োগ করা। আপনার যে টাকাটাই জমবে তাই বিনিয়োগ করার পথ খুঁজুন।
৪. লাভ ছাড়া ঋণ নয়
সরাসরি আর্থিক লাভ হয় না, এমন ঋণ বাদ দিন। ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনতে হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে, এ থেকে কী লাভ হবে? যদি ব্যবসাক্ষেত্রে বড় অংকের আর্থিক লাভ আনতে পারে গাড়িটি, তাহলেই কেবল তা কেনা যেতে পারে।
৫. টাকাকে অগ্রাধিকার দিন
বহু মানুষই আর্থিক স্বাধীনতা আশা করে কিন্তু একে বাস্তবে অগ্রাধিকার দেয় না। যদি বাস্তবেই টাকাকে ভালোবাসেন তাহলে সে আপনার কাছে আসবেই। তবে সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৬. টাকা ঘুমায় না
মানুষের মতো টাকা ঘুমায় না। এর নেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনো বিশেষ দিবস। সারা বছর একটানা কাজ করে যায় টাকা। আর তাই টাকাকে ধরতে হলে আপনারও বিশ্রামের কথা ভুলে যেতে হবে। শুধু যে বিশ্রামটুকু না করলেই নয়, তাই করতে হবে।
৭. গরিব অবস্থাকে ভয় করুন
অনেক ধনী মানুষই অতীতে গরিব ছিলেন। বিল গেটস বলেন, ‘গরিব অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা আপনার ভুল নয়। কিন্তু গরিব অবস্থায় মৃত্যুবরণ করাটা আপনার ভুল।’ গরিব হওয়াকে ভয় পাওয়া দারিদ্রের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে বহু ব্যক্তিকে উৎসাহিত করেছে।
৮. গুরু খুঁজে নিন
মধ্যবিত্ত সমাজে ধনী হওয়ার কলাকৌশল নিজে নিজে রপ্ত করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে একজন ধনী ব্যক্তির আন্তরিক পরামর্শ প্রয়োজন। আর এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৯. বিনিয়োগ, বিনিয়োগ, বিনিয়োগ
আপনার হাতে আয়ের সম্ভাব্য যত উৎস আছে, তা একত্রিত করে সতর্কভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। আর এ বিনিয়োগ থেকে পাওয়া অর্থ আবার বিনিয়োগ করতে হবে। এভাবে ক্রমাগত বিনিয়োগ করেই আপনার আর্থিক ভিত্তি সম্প্রসারিত হবে।
১০. বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
অনেকেই লক্ষ্য নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয় না। এ কারণে তারা লক্ষ্যমাত্রাই অল্প করে ধরে রাখে। ফলে মূল উপার্জন তার চেয়েও কমে যায়। তাই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিন, ১ কোটির জায়গায় টার্গেট করুন ১০ কোটি টাকার। এক্ষেত্রে পুরো টাকাটা না পেলেও তার কাছাকাছি অন্তত পৌঁছাতে পারবেন।

মাত্র ৩০ বছর বয়সেই ধনী হওয়ার ১০টি উপায়

Posted by MOHAMMED ZAHIDUL ISLAM BHUIYAN  |  No comments

ধনী হওয়ার উপায় অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও বহু ধনী বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তারা কয়েকটি উপায়ের কথা বলেন, যা কঠোরভাবে পালন করলে ধনী হওয়া সম্ভব অল্প বয়সেই। তবে এক্ষেত্রে বিষয়গুলো আংশিক মানলে হবে না, সফল হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই মিলিয়নেয়ার হওয়া গ্র্যান্ট কার্ডন এ লেখার ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন।
Woman Counting Money. Image shot 2008. Exact date unknown.
১. টাকা অনুসরণ করুন
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি সহজেই ধনী হতে পারবেন না। এজন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো টাকা উপার্জন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর এতে যে পথগুলো সফল হবে সে পথে উপার্জন বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে।
২. লোক দেখানো বন্ধ করুন
সামান্য কিছু টাকা হলেই তা দিয়ে বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য কেনা অভ্যাস বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত টাকা না আসা পর্যন্ত দামি মোবাইল, ঘড়ি, গাড়ি ইত্যাদির পেছনে এক পয়সাও ব্যয় করা যাবে না। অর্থ ব্যয় করার বদলে তা জমিয়ে নতুন করে অর্থ উপার্জনের কাজে লাগান।
৩. বিনিয়োগ ক্ষেত্র বের করুন
আপনার টাকা জমানোর মূল উদ্দেশ্য হবে তা দিয়ে যুতসই বিনিয়োগ করা। আপনার যে টাকাটাই জমবে তাই বিনিয়োগ করার পথ খুঁজুন।
৪. লাভ ছাড়া ঋণ নয়
সরাসরি আর্থিক লাভ হয় না, এমন ঋণ বাদ দিন। ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনতে হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে, এ থেকে কী লাভ হবে? যদি ব্যবসাক্ষেত্রে বড় অংকের আর্থিক লাভ আনতে পারে গাড়িটি, তাহলেই কেবল তা কেনা যেতে পারে।
৫. টাকাকে অগ্রাধিকার দিন
বহু মানুষই আর্থিক স্বাধীনতা আশা করে কিন্তু একে বাস্তবে অগ্রাধিকার দেয় না। যদি বাস্তবেই টাকাকে ভালোবাসেন তাহলে সে আপনার কাছে আসবেই। তবে সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৬. টাকা ঘুমায় না
মানুষের মতো টাকা ঘুমায় না। এর নেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনো বিশেষ দিবস। সারা বছর একটানা কাজ করে যায় টাকা। আর তাই টাকাকে ধরতে হলে আপনারও বিশ্রামের কথা ভুলে যেতে হবে। শুধু যে বিশ্রামটুকু না করলেই নয়, তাই করতে হবে।
৭. গরিব অবস্থাকে ভয় করুন
অনেক ধনী মানুষই অতীতে গরিব ছিলেন। বিল গেটস বলেন, ‘গরিব অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা আপনার ভুল নয়। কিন্তু গরিব অবস্থায় মৃত্যুবরণ করাটা আপনার ভুল।’ গরিব হওয়াকে ভয় পাওয়া দারিদ্রের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে বহু ব্যক্তিকে উৎসাহিত করেছে।
৮. গুরু খুঁজে নিন
মধ্যবিত্ত সমাজে ধনী হওয়ার কলাকৌশল নিজে নিজে রপ্ত করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে একজন ধনী ব্যক্তির আন্তরিক পরামর্শ প্রয়োজন। আর এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৯. বিনিয়োগ, বিনিয়োগ, বিনিয়োগ
আপনার হাতে আয়ের সম্ভাব্য যত উৎস আছে, তা একত্রিত করে সতর্কভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। আর এ বিনিয়োগ থেকে পাওয়া অর্থ আবার বিনিয়োগ করতে হবে। এভাবে ক্রমাগত বিনিয়োগ করেই আপনার আর্থিক ভিত্তি সম্প্রসারিত হবে।
১০. বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
অনেকেই লক্ষ্য নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয় না। এ কারণে তারা লক্ষ্যমাত্রাই অল্প করে ধরে রাখে। ফলে মূল উপার্জন তার চেয়েও কমে যায়। তাই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিন, ১ কোটির জায়গায় টার্গেট করুন ১০ কোটি টাকার। এক্ষেত্রে পুরো টাকাটা না পেলেও তার কাছাকাছি অন্তত পৌঁছাতে পারবেন।

২:৩৯ AM Share:
Get updates in your email box
Complete the form below, and we'll send you the best coupons.

Deliver via FeedBurner

বিশেষ কৃতজ্ঞতা

আমাদের কম্পিউটার টেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান শ্রধেহ সম্মানিত স্যার হামিদুল হক স্যারের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞ

আমাদের সম্পর্কে

মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ফেনী পলিটেকনিক ইন্সিটিউট কম্পিউটার টেকনোলজি ৭ম পর্ব
back to top