পড়াশোনা বা অভিজ্ঞতা দশজন প্রার্থীর মধ্যে
একই রকম থাকতে পারে। কিন্তু কিছু খুঁটিনাটি বিষয় আছে যেগুলো একজনকে অন্যদের
থেকে আলাদা করে। সেগুলো যাদের জানা আছে তারা সেগুলো সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারে।
(১) চাকরি খোঁজা
(২) এপ্লিকেশন তৈরি করা এবং পাঠানো
(৩) ইন্টারভিউয়ে কী করণীয়
(৪) ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া
(৫) লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা
(৬) ইন্টারভিউয়ের পর করণীয়
কোথায় চাকরি খুঁজবেন
দুষ্টু লোকে বলে মামা-চাচা বড় পজিশনে থাকলে আর চাকরি খুঁজে বেড়াতে হয় না। এটা কিন্তু শুধু বাংলাদেশের একার দুর্নাম না। সারা বিশ্বেই এই স্বজনপ্রীতি চলে কমবেশি। কিন্তু তাতে কি সবার তো আর ক্ষমতাবান মামা-চাচা থাকে না। তাই চাকরি আমাদের খুঁজতে হয় বিভিন্ন সোর্স থেকে এবং মামা-চাচা ছাড়াও আসলে চাকরি হয়। চাকরি খোঁজার কয়েকটি সোর্স
পত্রিকার বিজ্ঞাপন
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত চাকরির নির্ভরযোগ্য সোর্স হচ্ছে খবরের কাগজ। ওয়েবসাইট : প্রথমদিকে যখন দেশে চাকরির ওয়েবসাইট চালু হয়েছিল তখন অনেকেই মনে করেছিল, চাকরির জন্য কেউ ওয়েবসাইট দেখতে যাবে না, সুতরাং এগুলো চলবে না। সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে চাকরির প্রধান সোর্স হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইফলড়নংসহ আরও অনেক চাকরিদাতা ওয়েবসাইট।
অন্যান্য উৎস
অনেক সংস্থা বিভিন্ন কারণে কোন বিজ্ঞাপন দেয় না। মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে ভাল লোক পাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় খুব সময় খুব সিনিয়র পজিশনের জন্যও এটা করা হয়।
কিভাবে এপ্লিকেশন করবেন
একটা মনমতো চাকরির বিজ্ঞাপন পাওয়ার পর এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার দরখাস্তটা হতে হবে নিখুঁত এবং আকর্ষণীয়। অনেক সময় একটা পদের জন্য ৪০০-৫০০ থেকে শুরু করে ৬০০ আবেদনও হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই ঈঠ সমুদ্রের মধ্যে আপনারটা চোখে পড়ার মতো হতে হবে। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি
ধরুন, যেখানে আবেদন করেছিলেন, সেখান থেকে ডাক পেলেন। ইন্টারভিউয়ের জন্য তারিখ জানিয়ে দেয়ার পর কী করবেন?
® ইন্টারভিউটি সম্বন্ধে জানুন কী ধরনের ইন্টারভিউ হবে? লিখিত, মৌখিক না অন্য ধরনের কোন পরীক্ষা? লিখিত পরীক্ষা হলে কতক্ষণ পরীক্ষা হবেÑ এক-দেড় না দুই ঘণ্টা? কারণ, একেক সংস্থা একেক রকম ব্যবস্থায় ইন্টারভিউ নেয়। বিভিন্ন পদের জন্যও বিভিন্ন রকম পদ্ধতি হতে পারে। এছাড়াও জেনে নেবেন লিখিত পরীক্ষা কম্পিউটারে দিতে হবে, না কাগজ-কলম ব্যবহার করে দিতে হবে। লিখিত বা মৌখিক ছাড়াও আরও নানান ধরনের পরীক্ষা হতে পারে এবং সেগুলো অনেক কোম্পানি ইদানীং ব্যবহার করছে।
যেমন :
* প্রেজেন্টেশন
* গ্রুপ ডিসকাশন
* ওছ পরীক্ষা
* তাৎক্ষণিক বক্তৃতা ইত্যাদি
আরও যা জানতে পারেন
কত সময় থাকতে হতে পারে?
কিছু সঙ্গে নিতে হবে কি না।
সংস্থাটি সম্বন্ধে গবেষণা করুন। ওই অফিসের ঠিকানাটা ভালভাবে জেনে নিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আগে একদিন গিয়ে লোকেশনটা দেখে চিনে আসতে পারেন।
ইন্টারভিউয়ের দিন
সময়মতো আসার প্রস্তুতি। মনে রাখবেন, ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যামের জন্য দেরি হওয়াটা কোন অজুহাত হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। সুতরাং কখনই ইন্টারভিউতে দেরি করে যাবেন না, আর নিচের এই দুটো অজুহাত কখনই দেবেন না।
* রাস্তায় জ্যাম ছিল।
* ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
একটা ছোট ব্যাগে কলম, পেন্সিল, ইরেজার এবং ফাইন্যান্স বা এ্যাকাউন্টিং জাতীয় পরীক্ষা হলে ক্যালকুলেটর রাখতে পারেন।
পোশাক নির্বাচন
পোশাক নির্বাচন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাভাবিক পোশাক পরুন।
‘আপনি যখন ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য একটি অফিসে গিয়ে ঢুকলেন তখন থেকেই আপনার ইন্টারভিউ শুরু হলো মনে করবেন।’
লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা
অনেক সংস্থাই লিখিত পরীক্ষা নেয় এক ঘণ্টার। কেউ কেউ বেশিও নিতে পারে। মৌখিক পরীক্ষা, যাকে ইংরেজীতে ইন্টারভিউ বা ভাইভা বলা হয়, সেটাই সবার জন্য বেশি চিন্তা ও ভয়ের বিষয়। যিনি জীবনে বহুবার ইন্টারভিউ দিয়েছেন একই রকম ব্যক্তিও বোর্ডের সামনে ঢুকলে একটু না একটু নার্ভাস হন। এটা স্বাভাবিক।
যে ব্যাপারগুলো আপনাকে এগিয়ে রাখবে
ক) স্মার্টনেস এবং কনফিডেন্স
খ) কমিউনিকেশন/যোগাযোগের দক্ষতা
গ) প্রার্থীর সম্ভাবনা
ঘ) বিষয়ের ওপর দক্ষতা
ঙ) বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা
চ) প্রার্থীর সংস্থায় থাকার সম্ভাবনা
ছ) সংস্থার সঙ্গে মানানসই কিনা
ইন্টারভিউয়ের পর করণীয়
আপনি হয়ত ইন্টারভিউর শেষে জেনেছেন, আপনাকে দু’তিন দিনের মধ্যেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছু একটা জানানো হবে। কিন্তু ওই সময় পরেও যদি আপনি কোন খবর না পান, তবে আপনার অধিকার আছে ওই সংস্থায় যেয়ে বা ফোন করে খোঁজ করার। তবে ঘন ঘন ফোন করে বিরক্তির উদ্রেক হবেন না।
(২) এপ্লিকেশন তৈরি করা এবং পাঠানো
(৩) ইন্টারভিউয়ে কী করণীয়
(৪) ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া
(৫) লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা
(৬) ইন্টারভিউয়ের পর করণীয়
কোথায় চাকরি খুঁজবেন
দুষ্টু লোকে বলে মামা-চাচা বড় পজিশনে থাকলে আর চাকরি খুঁজে বেড়াতে হয় না। এটা কিন্তু শুধু বাংলাদেশের একার দুর্নাম না। সারা বিশ্বেই এই স্বজনপ্রীতি চলে কমবেশি। কিন্তু তাতে কি সবার তো আর ক্ষমতাবান মামা-চাচা থাকে না। তাই চাকরি আমাদের খুঁজতে হয় বিভিন্ন সোর্স থেকে এবং মামা-চাচা ছাড়াও আসলে চাকরি হয়। চাকরি খোঁজার কয়েকটি সোর্স
পত্রিকার বিজ্ঞাপন
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত চাকরির নির্ভরযোগ্য সোর্স হচ্ছে খবরের কাগজ। ওয়েবসাইট : প্রথমদিকে যখন দেশে চাকরির ওয়েবসাইট চালু হয়েছিল তখন অনেকেই মনে করেছিল, চাকরির জন্য কেউ ওয়েবসাইট দেখতে যাবে না, সুতরাং এগুলো চলবে না। সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে চাকরির প্রধান সোর্স হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইফলড়নংসহ আরও অনেক চাকরিদাতা ওয়েবসাইট।
অন্যান্য উৎস
অনেক সংস্থা বিভিন্ন কারণে কোন বিজ্ঞাপন দেয় না। মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে ভাল লোক পাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় খুব সময় খুব সিনিয়র পজিশনের জন্যও এটা করা হয়।
কিভাবে এপ্লিকেশন করবেন
একটা মনমতো চাকরির বিজ্ঞাপন পাওয়ার পর এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার দরখাস্তটা হতে হবে নিখুঁত এবং আকর্ষণীয়। অনেক সময় একটা পদের জন্য ৪০০-৫০০ থেকে শুরু করে ৬০০ আবেদনও হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই ঈঠ সমুদ্রের মধ্যে আপনারটা চোখে পড়ার মতো হতে হবে। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি
ধরুন, যেখানে আবেদন করেছিলেন, সেখান থেকে ডাক পেলেন। ইন্টারভিউয়ের জন্য তারিখ জানিয়ে দেয়ার পর কী করবেন?
® ইন্টারভিউটি সম্বন্ধে জানুন কী ধরনের ইন্টারভিউ হবে? লিখিত, মৌখিক না অন্য ধরনের কোন পরীক্ষা? লিখিত পরীক্ষা হলে কতক্ষণ পরীক্ষা হবেÑ এক-দেড় না দুই ঘণ্টা? কারণ, একেক সংস্থা একেক রকম ব্যবস্থায় ইন্টারভিউ নেয়। বিভিন্ন পদের জন্যও বিভিন্ন রকম পদ্ধতি হতে পারে। এছাড়াও জেনে নেবেন লিখিত পরীক্ষা কম্পিউটারে দিতে হবে, না কাগজ-কলম ব্যবহার করে দিতে হবে। লিখিত বা মৌখিক ছাড়াও আরও নানান ধরনের পরীক্ষা হতে পারে এবং সেগুলো অনেক কোম্পানি ইদানীং ব্যবহার করছে।
যেমন :
* প্রেজেন্টেশন
* গ্রুপ ডিসকাশন
* ওছ পরীক্ষা
* তাৎক্ষণিক বক্তৃতা ইত্যাদি
আরও যা জানতে পারেন
কত সময় থাকতে হতে পারে?
কিছু সঙ্গে নিতে হবে কি না।
সংস্থাটি সম্বন্ধে গবেষণা করুন। ওই অফিসের ঠিকানাটা ভালভাবে জেনে নিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আগে একদিন গিয়ে লোকেশনটা দেখে চিনে আসতে পারেন।
ইন্টারভিউয়ের দিন
সময়মতো আসার প্রস্তুতি। মনে রাখবেন, ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যামের জন্য দেরি হওয়াটা কোন অজুহাত হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। সুতরাং কখনই ইন্টারভিউতে দেরি করে যাবেন না, আর নিচের এই দুটো অজুহাত কখনই দেবেন না।
* রাস্তায় জ্যাম ছিল।
* ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
একটা ছোট ব্যাগে কলম, পেন্সিল, ইরেজার এবং ফাইন্যান্স বা এ্যাকাউন্টিং জাতীয় পরীক্ষা হলে ক্যালকুলেটর রাখতে পারেন।
পোশাক নির্বাচন
পোশাক নির্বাচন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাভাবিক পোশাক পরুন।
‘আপনি যখন ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য একটি অফিসে গিয়ে ঢুকলেন তখন থেকেই আপনার ইন্টারভিউ শুরু হলো মনে করবেন।’
লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা
অনেক সংস্থাই লিখিত পরীক্ষা নেয় এক ঘণ্টার। কেউ কেউ বেশিও নিতে পারে। মৌখিক পরীক্ষা, যাকে ইংরেজীতে ইন্টারভিউ বা ভাইভা বলা হয়, সেটাই সবার জন্য বেশি চিন্তা ও ভয়ের বিষয়। যিনি জীবনে বহুবার ইন্টারভিউ দিয়েছেন একই রকম ব্যক্তিও বোর্ডের সামনে ঢুকলে একটু না একটু নার্ভাস হন। এটা স্বাভাবিক।
যে ব্যাপারগুলো আপনাকে এগিয়ে রাখবে
ক) স্মার্টনেস এবং কনফিডেন্স
খ) কমিউনিকেশন/যোগাযোগের দক্ষতা
গ) প্রার্থীর সম্ভাবনা
ঘ) বিষয়ের ওপর দক্ষতা
ঙ) বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা
চ) প্রার্থীর সংস্থায় থাকার সম্ভাবনা
ছ) সংস্থার সঙ্গে মানানসই কিনা
ইন্টারভিউয়ের পর করণীয়
আপনি হয়ত ইন্টারভিউর শেষে জেনেছেন, আপনাকে দু’তিন দিনের মধ্যেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছু একটা জানানো হবে। কিন্তু ওই সময় পরেও যদি আপনি কোন খবর না পান, তবে আপনার অধিকার আছে ওই সংস্থায় যেয়ে বা ফোন করে খোঁজ করার। তবে ঘন ঘন ফোন করে বিরক্তির উদ্রেক হবেন না।
২:৩৬ AM
Share:
0 মন্তব্য(গুলি):